ভারতের জাল মুদ্রা তৈরির সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয় খতিয়ে দেখছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্ত চালাতে গিয়ে এমন যোগসূত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মরর্তা জানান, জঙ্গিরা জাল মুদ্রা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
“আর এনআইএ এখন এই দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত চালাচ্ছে।”
ইতোমধ্যে বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে তারা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যায় জঙ্গিদের একটি পরিকল্পনাও জানতে পেরেছেন।
জাল মুদ্রার ব্যবসা থেকে জেএমবি এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় সম্প্রতি এনআইএ’র একটি দল বাংলাদেশ সফর করে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, “ঢাকায় চারদিনের সফরে এসে এনআইএ’র কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে জাল ভারতীয় মুদ্রার ব্যবসা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কথাও জানিয়েছে।”
বিশেষ করে জাল ভারতীয় মুদ্রা আটকের তিনটি ঘটনা তদন্ত করে সেগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছে বলে জানতে পারে এনআইএ। এর পর থেকেই যোগসূত্র বের করার অনুসন্ধান শুরু করে তারা।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বরোল্যান্ডও (এনডিএফবি) জাল নোট বাণিজ্যে জড়িত।
সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আসামের মুসলিম মৌলবাদী দলগুলোও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী এই জাল মুদ্রা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”
গত তিন বছরের তথ্য অনুযায়ী, আসাম সীমান্ত থেকে ৯৫ লাখ নয় হাজার ২০৫ এবং মেঘালয় সীমান্ত থেকে ১০ লাখ ২৫ হাজার জাল ভারতীয় রুপি আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
No comments:
Post a Comment