মাথা ন্যাড়া করার পর মুখে মাখা হয় কালি। এরপর নগ্ন করে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হয় সারা গ্রাম। ভারতে এক নারীকে এভাবেই শাস্তি দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত।
পুলিশ জানায়, রাজস্থানের রাজসামান্দে এলাকার একটি গ্রামে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীকে এই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ভাগ্নেকে হত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা শ্বেতা ধানখাদ বিবিসি’কে বলেন, ২ নভেম্বর থুরাওয়াদ গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী ভারদি সিং আত্মহত্যা করেন।
নিহতের স্বজনরা তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কিন্তু তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী এবং কয়েকজন স্বজন থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন যে, ভারদি সিংয়ের মামী তাকে হত্যা করেছে।এ ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা শ্বেতা ধানখাদ বিবিসি’কে বলেন, ২ নভেম্বর থুরাওয়াদ গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী ভারদি সিং আত্মহত্যা করেন।
ভারদির স্বজনরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছেও এর বিচার চান। শনিবার রাতে পঞ্চায়েতের বিচারে ওই নারী ভাগ্নে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
পঞ্চায়েতের নির্দেশে একজন নারীর ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন খুবই লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেন পুলিশ কর্মকর্তা শ্বেতা ধানখদ।
তিনি বলেন, “যখন পুলিশ ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তারা ওই নারীর কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চান তখনও ওই নারী ভয়ে মুখ পর্যন্ত খুলতে চাইছিলেন না। পরে তাকে আস্বস্ত করা হলে তিনি কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন এবং তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দেন।”
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সম্প্রতি ভারতের গ্রাম গুলোতে পঞ্চায়েতের নির্দেশে নারীদের এ ধরনের সাজা দেয়ার হার বেড়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment