counters

Sunday, November 9, 2014

Priyanka open production company

প্রিয়াঙ্কা প্রযোজনা সংস্থা খুলছেন


প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রূপালি পর্দায় কাজ করছেন এক যুগের বেশি সময়। ক্যারিয়ারে এসেছে নানান উত্থান-পতন। তার সবটাই একা সামলিয়েছেন।
তাই আজও আফসোস, যদি তার চলার পথে একজন পথপ্রদর্শক বা বন্ধু থাকত, যিনি তাকে সঠিক রাস্তা দেখাতে পারতেন। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। তাই আজ নিজে যখন প্রযোজনা সংস্থা খুলতে চলেছেন, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেবেন।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতে বলিউডে পথ চলা শুরু প্রিয়াঙ্কার। আর আজ তিনি বলিউডের কয়েকজন সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। প্রিয়াঙ্কা নিজেকে একজন বেবি প্রডিউসার হিসেবে বর্ণনা করে জানান, নিজের প্রযোজনা সংস্থাতে নতুনদের সুযোগ
দেবেন এবং স্বল্প খরচে ভাল ছবি বানাবেন।
ছোট্ট শহর থেকে আসা এই পাঞ্জাবী গুরিয়া ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড শিরোপা জেতেন। তারপর প্রচুর ঘাত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে একজন পরীক্ষিত ও সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আর তাই আজ তিনি বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী। ১৪ বছরের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই এবার প্রযোজনায় নামতে চলেছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ পুরো যাত্রা পথটা ছিল ভীষণ কঠিন, কারণ দিক নির্দেশ করার মতো কোনো গাইড বা মেন্টর বলিউডে ছিল না। ভীষণভাবেই একলা চলতে হয়েছে পথটা, প্রতি পদক্ষেপে ছিল ভয়। তাই তিনি নিজের সংস্থার মাধ্যমে তুলে আনতে চান নতুন চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, গায়ক ও অভিনেতা। আর এই সময়ই মাধুর ভাণ্ডারকর পরিচালিত ‘মাদামজী’ তার দরজায় এসে কড়া নাড়ে। এই ছবি দিয়েই প্রযোজনায় হাতেখড়ি হতে চলেছে প্রিয়াঙ্কার। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায়ও আছেন তিনি। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মাদামজীর শুটিং শুরু হবে। চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা অভিনীত ‘মেরি কম’ও যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। এখন প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা কতটা সফল হন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি জীবনে কখনই কোনো বিষয় পরিকল্পনা করে করেননি। জীবন যখন যেমনভাবে সুযোগ দিয়েছে, তিনি তখন সেই কাজই একশ ভাগ চেষ্টা দিয়ে করেছেন। গায়িকা হওয়ার ভাবনাও তার ছিল না, অভিনেত্রী হবেন তেমনটাও ভাবেননি কখনও। হতে চেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু হলেন অভিনেত্রী। তাই জীবন তার জন্য যা নিয়ে আসে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলার পক্ষপাতী তিনি।
সামনে প্রিয়াঙ্কার ‘দিল ধড়ক নে দো’ ও ‘বাজিরাও মাস্তানি’ মুক্তি পাবে। তিনি সবসময়ই এরকম ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন ধরনের ছবি করেতে পছন্দ করেন।কারণ প্রথম ছবিটা একেবারেই শহরকেন্দ্রিক, সেখানে দ্বিতীয়টা পিরিয়ড ছবি। ‘মেরি কম’ ছিল খেলাকেন্দ্রিক। প্রিয়াঙ্কা মনে করেন, তিনি যা শিখেছেন তা এই ক্যারিয়ারের বদৌলতেই শিখেছেন এবং এখনও শিখছেন। তাই তার বিশ্বাস নিজেকে টিকিয়ে রাখতে গেলে ভিন্ন ধরনের ও স্বাদের কাজ করতে হবে। সেটাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে দেবেএবং এটাই নিজেকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র মন্ত্র।

No comments:

Post a Comment