ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের বশির ছাত্রাবাসে। ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইফলু) স্নাতকোত্তরের ওই ২৩ বছরের ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন তাঁর সহপাঠী।
ধৃতদের নাম, নিতিন সোলাসমুদ্রম (২১) এবং কে রাজ সিমহা (২৪)। নিতিন ইফলু-র কমিউনিকেশন এবং জার্নালিজমের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে বশির ছাত্রাবাসেই থাকে। তার রুমেই এই ঘটনাটি ঘটে। অন্য দিকে রাজ সিমহা ইফলুর প্রাক্তনী এবং সে নিতিনের বন্ধু। জানা গিয়েছে দিল্লির বাসিন্দা ওই নিগৃহীতা এক কূটনীতিকের মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নিগৃহীতা নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বশির ছাত্রাবাসে যান। কিন্তু সেখানে নিজের বন্ধুকে না-পেয়ে ফিরে আসছিলেন, তখনই নিতিন তাঁকে নিজের রুমে পার্টির জন্য আমন্ত্রণ জানায়। নিতিনকে আগে থেকেই চিনতেন নিগৃহীতা। তাই তার ডাকে রাজি হয়ে যান। সেই রুমেই ছিল রাজ সিমহা।
নিগৃহীতার অভিযোগ, তাঁর মদ্যপ অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে ওই দুই যুবক। পুলিশকে নিগৃহীতা জানিয়েছেন, পর দিন সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর চোখ খুললে তিনি সব বুঝতে পারেন। নিতিনকে ডেকে চাপ দিতেই সে যৌন নিগ্রহের কথা স্বীকার করে। রবিবার দুপুর ২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশে মামলা দায়ের করেন নিগৃহীতা।
ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ এবং ৩৭৬জি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান অন্যান্য পড়ুয়ারা।
No comments:
Post a Comment