counters

Wednesday, November 12, 2014

‘গুগল বাস’র যাত্রা শুরু




তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। গুগলের দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এমার্জিং মার্কেটসের প্রধান জেমস ম্যাকক্লার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
‘গুগল বাস বাংলাদেশ প্রজেক্ট’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় নয়টি থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ সম্বলিত মনিটর ও সাউন্ড সিস্টেম সম্পন্ন একটি বাস রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ঘুরবে।
‘গুগল বাস’র মনিটর ও সাউন্ড সিস্টেমে অডিও-ভিডিওর  মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহারের নানা দিক ও এর সুবিধা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। গুগলের বিনামূল্যের সব এপ্লিকেশনের সঙ্গেও তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের প্রায় ৩৫টি জায়গায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে এ প্রকল্পের।
এরইমধ্যে  ঢাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মশালার আয়োজন করেছে ‘গুগল বাস’। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ছয়টি বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন জেলার বাছাই করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বাস পৌঁছে যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণে আগ্রহীরা গুগল প্লাসে ‘গুগল বাস বাংলাদেশ কমিউনিটি’ পেইজ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।
এ কর্মশালা থেকে পাওয়া ইন্টারনেট সম্পর্কিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “এ প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গর্বিত। এই বাসটি আগামী এক বছরে ৫০০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেবে।
“প্রতিটি  নাগরিকেরই ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা উচিত। ভবিষ্যতের তথ্য- প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির সুযোগ কাজে লাগাতেই আমরা এ ধরনের প্রকল্পে অংশ নিয়েছি।”
ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইন্টারনেট কেবল চ্যাট করার জন্য নয়। অভিভাবকদের মাঝে ইন্টারনেট সম্পর্কে বাজে ধারণা রয়েছে। এর অনেক ব্যবহারই আমাদের অজানা।  গুগলের  ফ্রি এপ্লিকেশনের মাধ্যমে শিক্ষা , স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেসব তথ্য গুগলে রয়েছে সে ব্যাপারে সচেতন করার জন্যই এই আয়োজন।”
গুগলের কর্মকর্তা জেমস ম্যাকক্লার বলেন, “বাংলাদেশ হলো এমন এক দেশ যেখানে সম্ভাবনাময় বিপুল সংখ্যক তরুণ রয়েছেন, যারা দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
“আমরা মনে করি, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে সমাজের এই উৎসাহী-উদ্যমী ও প্রাণচঞ্চল তরুণ শক্তিই একদিন ইন্টারনেটের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং এদেশকে প্রযুক্তিভিত্তিক গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রামের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে  নতুন নতুন প্রকল্পে গুগল অংশ নিতে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে  ‘স্ট্রিট ভিউ’ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছেন তারা।
ভবিষ্যতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যও  ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রকল্প চালুর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী  জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ২৩ হাজার মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ এবং সাড়ে তিন হাজার কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। আগামী দুই বছরে মাল্টিমিডিয়া সুবিধা সম্বলিত আরো দুই হাজার কম্পিউটার ল্যাব করা হবে।

No comments:

Post a Comment